প্রকাশিত: ০১/০২/২০১৭ ৯:২১ এএম
কুতুপালং বাজারে ভুয়া রোহিঙ্গা ডাক্তার

কুতুপালং বাজারে ভুয়া রোহিঙ্গা ডাক্তার
সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরনার্থী শিবির ও বস্তিতে বিপুল পরিমান রোহিঙ্গা থাকার সুবাধে কুতুপালং রোহিঙ্গা বাজারে ব্যাপক হারে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক অবৈধ ফার্মেসী। আর এসব ফার্মেসীতে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। কোন রকম পড়ালেখা বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই দিব্বি ডাক্তার গিরি চালিয়ে যাচ্ছে এসব রোহিঙ্গা ডাক্তার। পরিচিত কথাও ব্যবহারের কারনে ক্যাম্প ও বস্তিতে অবস্থান করা রোহিঙ্গারাও এসব ডাক্তারদের শরনাপর্ণ হচ্ছে। কিছুদিন এলাকার বিভিন্ন ফামের্সীতে চাকুরী করে স্থানীয় বেকার যুবকরাও নামের পার্শ্বে ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করছে এখানে।সাধারন রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমান অর্থ। ভুল চিকিৎসার শিকারও হচ্ছে সাধারন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গারা নামের নামের আগে ডাক্তার লিখলেও স্থানীয় প্রসাশনের কোন মাতাব্যাথা নেই।

সরজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে,উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা বাজার হিসেবে পরিচিত কুতুপালং এলাকায় শরনাথী ক্যাম্প ও বস্তি কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক ফার্মেসী। এসব ফার্মেসী মালিকদের মধ্যে রয়েছেন আনোয়ার,জয়নাল, খুরশেদ আলম, সেলিম, উছমান, জয়নাল, জালাল উদ্দিন,জাফর আহামদ সহ আরো অনেকে। যাদের মধ্যে বেশীর ভাগ রোহিঙ্গা। কিছু কিছু ফার্মেসী মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবসার অন্তরালে মিয়ানমারে ঔষুধ পাচার ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিত্রিুর অভিযোগ রয়েছে। এসব রোহিঙ্গা ডাক্তাররা ফার্মেসী ব্যবসার বদৌলতে সাধারন রোহিঙ্গাদের কাছে এখন নামী ডাক্তার হিসেবে পরিচিত।তাছাড়া কিছুদিন আগে স্থানীয় যুবকদের অনেকে যারা জড়িত ছিলেন ঔষুধের দোকানের ফার্মাসিষ্ট কিংবা সরকারী বে-সরকারী কোন মেডিকেল সহকারী বা নার্স তারা আজ কুতুপালং বাজারে সাইনবোর্ড ধারী বড় বড় বিশেজ্ঞ ডাক্তার। অথচ এসব হাতুড়ে ডাক্তাররা ঠিকমত ঔষধের নাম পর্যন্ত ঠিকমত লিখতে পারে না। লিখতে পারে না, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নাম। আর যা লিখে তাতেও থাকে ভুলে ভরা এবং তাদের প্রেসক্রিপশন দেখলেই শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিধি বুঝা যায়। এভাবে নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিগ্রির নামসর্বস্ব সাইনবোর্ডে লাগিয়ে সারাদিন রোগীদের অপচিকিৎসার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে বহাল তবিয়তে রোগীদের সাথে প্রতারনা চালিয়ে গেলেও কোনদিন প্রসাশনের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয়নি। এসব ডাক্তারের চেম্বারে দেখা গিয়ে দেখা যায়, সকাল-বিকাল রোগীদের ভিড়। রোগীদের কাছ থেকে ভিজিট নিচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এসব ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা কেউ এসএসসি পাশ আবার কেউ এইচএসসি পাশ। আর এ অনভিজ্ঞতার কারণে এ হাতুড়ে ডাক্তাররা সহজে রোগীদের ধরিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন আজেবাজে কোম্পানীর হাই-পাওয়ারী এন্টিবায়োটিক ঔষধ। বেশ কয়েকটি ফামের্সী থেকে রাতের আধারে মিয়ানমারে জীবনরক্ষাকারী ঔষুধ পাচার ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিত্রিুর অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনগন। মিয়ানমারে ঔষুধ পাচার কাজে ফার্মেসী মালিকরা স্থানীয় চোরকারবারীদের পাশাপাশি সাধারন রোহিঙ্গাদের ও ব্যবহার করে থাকে। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা তিনি বেেলন,ইতিমধ্যে কুতুপালং বাজারে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে কয়েকটি ফার্মেসীকে।

পাঠকের মতামত

২২ টি মোবাইল টীমের মাধ্যমে উখিয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রান্তিক

তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যে তাপমাত্রায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। সেখানে ...

টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র পরিবার “আয়েশা” পেলেন মাথা গোছার নতুন ঠাঁই !

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন এ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখায়’ ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছেন সেমিপাকা ...